Music box

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২

পণ্য কিনে প্রতারিত হলে


 পণ্য কিনে প্রতারিত হলে বা অন্য কোনো অভিযোগ থাকলে ভোক্তারা জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনে অভিযোগ করতে পারবেন।  তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ৭৬ (৪) ধারায় অভিযোগকারীর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে জরিমানার ২৫ ভাগ অর্থ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসাবে মোট ৮৩ হাজার টাকা তাত্ক্ষণিক দেওয়া হয়েছে।
কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে লিখিত, ফ্যাক্স বা ই-মেইল যেকোনোভাবেই এই অভিযোগ করা যাবে। অভিযোগকারী তাঁর পূর্ণাঙ্গ নাম, পিতা ও মাতার নাম, ঠিকানা, ফোন ফ্যাক্স ও ই-মেইল নম্বর (যদি থাকে) এবং পেশা উল্লেখ করবেন।
মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ১ কারওয়ান বাজার (টিসিবি ভবন-৮ম তলা), ঢাকা-এই ঠিকানায় অভিযোগ দেওয়া যাবে। এ ছাড়া info@dncrp.gov.bd অথবা dncrp@yahoo.com ঠিকানায় মেইল করা যাবে।
অন্যান্য ঠিকানা-ফ্যাক্স: ০২-৮১৮৯০৪৫, ৮১৮৯৪২৫, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। 
বিভাগীয় উপপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ঢাকা-০২-৮১৮৯৮৬৪, চট্টগ্রাম-০৩১-৭৪১২১২, রাজশাহী-০৭২১-৭৭২৭৭৪, বরিশাল -০৪৩১-৬২০৪২, রংপুর-০৫২১-৫৫৬৯২ ও খুলনা -০৪১-৭২৪৬৮২।

ঔষধি গুণ


আদা
মসলা জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতমআদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়এছাড়া্ মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদাশুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়এছাড়াও সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়াএই ঠান্ডায় আদা ভীষণ উপকারী
এতে রয়েছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট, যা শরীরের রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করেজ্বর জ্বর ভাব, গলাব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে

বমি বমি ভাব দূর করতে এর ভূমিকা অপরিহার্যতাই বমি বমি ভাব হলে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেনএতে মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়

অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসএই অসুখগুলোয় সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথা হয়এই ব্যথা দূর করে আদাতবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি

মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিসজনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদাগর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগেকাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়গবেষণায় দেখা গেছে, আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণুকে ধ্বংস করে

দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদাএতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোনো কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো করে

এই ঠান্ডায় টনসিলাইটিস, মাথাব্যথা, টাইফয়েড জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, নাক বন্ধ হওয়া, বসন্তকে দূরে ঠেলে দেয় আদাওভারির ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে আদা

আমলকি
আমলকী বা 'আমলকি' একপ্রকার ভেষজ ফলসংস্কৃত ভাষায় এর নাম 'আমালিকা'ইংরেজি নাম 'aamla' বা 'Indian gooseberry'আমলকি গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus emblica বা Emblica officinalis

আমলকি আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ ফলগুলোর মধ্যে একটিআমলকি খেলে অনেক রোগের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় বা অনেক রোগ সেরে যায়এ ফলের গুণাগুণ অমৃত সমান-তাই একে অমৃতফল বলা

হয়ে থাকেপরিচর্যায় মায়ের মত উপকারী তাই একে ধাত্রীফলও বলা হয়আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে আড়াই গুণ, লেবুর চেয়ে সাড়ে চার গুণ, আমের চেয়ে ১০ গুণ, কমলার চেয়ে ১১ গুণ, আমড়ার চেয়ে ৫ গুণ সহ সব ফলের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে ১০০ গুণ বেশি ভিটামনি সি থাকেআমলকি দামে সস্তাপ্রতিদিন মাত্র একটি আমলকি খেয়ে আমাদের প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারিগাছ থেকে সংগ্রহের পর থেকে ধীরে ধীরে এর ভিটামিন সি নষ্ট হতে থাকেতাই আমলকি অবশ্যই তাজা খেতে হবেআমলকি শরীর ঠান্ডা রাখে, রক্ত, মাংস ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখেশরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পায়খানা স্বাভাবিক রাখা ও পুরুষের দেহে বীর্য বর্ধক হিসাবে কাজ করেচোখের জন্যও আমলকি বিশেষ ভাবে উপকারী

নিম্নে ১০০ গ্রাম আমলকিতে কি পাওয়া যায় তা  বর্ণনা করা হলো: প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে পানি- ৯১.৪ গ্রাম, খনিজ -০.৭ গ্রাম, প্রোটিন - ০.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম - ৩৪.০ মিগ্রা, আয়রণ - ১.২ মিগ্রা,

ভিটামিন বি১-১০.০২ মিগ্রা,

ভিটামিন বি২-২০.০৮ মিগ্রা, ভিটামিন সি-৪৬৩ মিগ্রা


কমলিশাক

কমলিশাক অত্যন্ত সুপরিচিতশহরে নগরে সর্বত্র কিনতে পাওয়া যায়গ্রামে, খালে-বিলে ও পুকুরে কমলি লতা ভাসতে দেখা যায়কমলি ফুল দেখতে সুন্দরকমলিশাক ভাজা ও ঝোল রান্না করে খাওয়া যায়তবে বড় কথা হলো কমলিশাক খুবই উপকারীকমলিশাক দুই প্রকারযথা-ডাঙ্গা কমলিশাক ও জলকমলিশাক ডাঙ্গা কমলিশাক গাছ দিয়ে ফসলের ক্ষেতের বেড়া দেয়া হয়জল কমলিশাক খাওয়া যায় কমলিশাক পুরুষের শুক্র ও মেয়েদের বুকের দুগ্ধ বর্ধক রক্ত পরিষ্কার করে এবং নানা প্রকার যৌনব্যাধিতে উপকারী

কমলি ডাঁটা ছেঁচে রস বের করে রোজ সকালে এক টেবিল চামচ
 খেলে শরীর বিষমুক্ত হয়

কমলির পাতা বেটে ফোঁড়ায় লাগালে পেকে পুঁজ বের হয়ে যায়।ত্বক চিকেন পক্স উঠলে কমলিশাক খেলে ভেতরের পক্স তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে আসে

হিস্টিরিয়া রোগে কমলির পাতা ও ডাঁটা বেটে রস খেলে উপকার হয়

শরীর ও পেট গরম হলে কমলিশাক খেলে ভালো হয়কমলিশাক দিয়ে সকাল-বিকেল ভাত খেলে
 মায়ের বুকের দুধ বাড়ে

শিশুদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হলে রাতে দুধের সঙ্গে পাঁচ ফোঁটা কমলি পাতার রস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়

ডায়াবেটিক রোগীরা প্রতিদিন কমলিশাক খেলে উপকার হয়

 যেসব লোকের ফোঁটায় ফোঁটায়
 প্রস্রাব হয় সারাক্ষণ, তারা
 কমলিশাক খেলে উপকার হয়। 




লটকন 

মাহফুজা মোবারক হলুদাভ গোলাকার ফলটিকে ইংরেজিতে বার্মিজ গ্রেপ বলা হয়। একটা সময় পর্যন্ত লটকন বাংলাদেশে উপেক্ষিত হলেও বর্তমানে দেশি ফল হিসেবে সুপরিচিত। আমাদের দেশের আবহাওয়া ও মাটি লটকন উত্‍পাদনের জন্য খুবই উপযোগী। টকমিষ্টি স্বাদযুক্ত লটকন ফল আমাদের দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। বৃহত্তর সিলেটবাসী ডুবি বা বুবি নামে চেনে ফলটিকে। ময়মনসিংহে এর নাম কানাইজু এবং চট্টগ্রামে হাড়ফাটা। এ ছাড়া লটকা, লটকাউ নামেও এটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচিত।
 পুষ্টিগুণ : লটকন অম্লমধুর ফল। এ ফলটি 'বি' ভিটামিনগুলোর চাহিদা পূরণে সহায়ক। এতে ভিটামিন বি-১ ০.০৩ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন বি-২ রয়েছে ০.১৯ মিলিগ্রাম। খাদ্যমানের দিক দিয়ে পাকা লটকন যথেষ্ট সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম লটকনের শাঁসে খাদ্যশক্তি রয়েছে ৯১ কিলোক্যালরি, যা আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের প্রায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া লটকন আমিষ, চর্বি, লৌহ এবং খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ ফল। লটকনে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি'। প্রতিদিন তিন-চারটি লটকন খেলে আমাদের দৈনন্দিন ভিটামিন 'সি'র চাহিদা পূরণ হয়।
 ঔষধি গুণ * লটকন বমিবমি ভাব দূর করে এবং তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করে 
* লটকনগাছের পাতা শুকিয়েগুঁড়ো করে খেলে ডায়রিয়া উপশম হয় ।
* লটকন ফল মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
* লটকনগাছের ছাল ও পাতা চর্মরোগ নিরাময়ে সহায়ক ।
* এ ফলের বীজ গনোরিয়া রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
* পেটের পীড়া এবং জ্বর নিরাময়ে এ ফলের পাতা ও মূল ব্যবহৃত হয়। সতর্কতা : বেশি পরিমাণে এ ফল খেলে ক্ষুধামান্দ্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদ, ডায়েট সলিউশন।



প্রাকৃতিক উপাদানে সৌন্দর্যচর্চা

 ব্যস্ত জীবন-যাপনে প্রাকৃতিক উপাদানে সৌন্দর্যচর্চার এত সময় কোথায়? ফলে রূপচর্চার অনেকটা জায়গাই দখল করে নিয়েছে আধুনিক ক্রিম ও ফেসওয়াশ। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদানের কাছে এসব নগণ্য । প্রাকৃতিক নানা ভেষজ উপাদানে চলতে পারে আপনার সৌন্দর্যচর্চা। তাই তো ভেষজ উপাদান দিয়ে রূপচর্চার প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ এখনো রয়ে গেছে অনেকেরই। তেমনই সব ভেষজ উপাদান দিয়ে রূপচর্চার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস ।আপনী ও ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
 হলুদ কাঁচা হলুদ বেটে নিয়মিত মুখে লাগালে কেবল যে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়, তা-ই নয় বরং এটা ব্রণ ও চর্মরোগ থেকে দেয় মুক্তি। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খান, দেখবেন ত্বকও ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে উজ্জ্বল। কেননা, এটি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। 
 থানকুনি পাতা থানকুনি পাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা হবে। সেই সঙ্গে কমবে চুল পড়ার হার। নিয়ম করে থানকুনি পাতার রস খেলে মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে দিন দিন। 
 ঘৃতকুমারী বা এলোভেরা এক চামচ ইসবগুলের ভুসি ও দুই চামচ এলোভেরার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েই দেখুন। বাড়তি মেদ পালানোর পথ পাবে না। দূর হবে বাতের ব্যথাও। এলোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন চুল গজাবে। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক করে তুলবে আরও উজ্জ্বল।
 আমলকী আমলকী খেলে মুখের রুচি বাড়ে, চুল পড়া বন্ধ হয় এবং ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আর আমলকীর গুঁড়া ও তিলের তেল মিশিয়ে মুখে লাগালে যেমন শুষ্ক ত্বক কোমল হবে, তেমন ত্বক ফর্সাও করবে। আবার চুলে আমলকীর রস এক ঘণ্টা লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে চুলের অকালপক্বতা দূর হবে।
 তিল। তিল লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল কালো হবে, ত্বকের দাগ দূর হবে। এটা খেলে বাতের ব্যথাও দূর হয়। তিলের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়। 
 কাঠবাদাম। কাঠবাদাম খেলে স্নায়বিক শক্তি বাড়ে। আবার কাঠবাদামের সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে সেটা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বকে কোমলতা আনে। 
লবঙ্গ যদি মুখে অনেক ব্রণ থাকে, তাহলে এটি গুঁড়া করে ব্রণের ওপর লাগান। ব্রণ কমে যাবে। 
মেথি মেথি বেটে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে। লেবু লেবু খেলে একই সঙ্গে চুল, ত্বক ও দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। লেবু ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ভালো ক্লেনজারের কাজ করবে। সমপরিমাণ লেবু ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকির যন্ত্রণা আর হবে না। জায়ফল গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাবেন। দারচিনি বেটে মধুর সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সমপরিমাণ শসাবাটা এবং গোলাপজল একসঙ্গে ব্যবহার করলে ব্রণের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করবে। 
শসা ও লেবুর রস তুলার বলের সাহায্যে ব্যবহার করলে পিগমেন্টেশন দূর হবে। সমপরিমাণ দারচিনির গুঁড়া এবং লেবুর রসের পেস্ট সারা রাত লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে নিতে পারেন। ব্ল্যাক হেডস দূর হবে। রাতেই কিছুটা মেথি বেটে হোয়াইট হেডস হয়েছে এমন স্থানে লাগিয়ে রেখে সকালে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সমস্যা কেটে যাবে। চন্দনের গুঁড়া ও গোলাপজল একসঙ্গে মিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহারেও উপকার পাবেন। ২০-৩০ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। 
 অল্প কিছু কালো এলাচ গুঁড়া করে ফ্রিজে রেখে দিন। ১০টি তেজপাতা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে এই পানির সঙ্গে এলাচ গুঁড়া ও মুলতানি মাটি মিলিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে গোসলের আগে ব্যবহার করুন। শরীরের দুর্গন্ধ দূর হবে ও ঘাম কমবে। 
 মেথি দিয়ে প্রস্তুতকৃত চা খেলে, লবঙ্গ চিবালে, এলাচের দানা চিবালে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। 
 কাঠবাদামের পাতা বেটে ত্বকের আক্রান্ত অংশে লাগালে অ্যালার্জি দূর হবে। 
 চুল পড়া কমাতে এক চা-চামচ দারচিনির গুঁড়া, এক টেবিল-চামচ মধু এবং এক টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল মিলিয়ে শ্যাম্পু করার পাঁচ-দশ মিনিট আগে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশন করে নিন। এক চা-চামচ এলোভেরা ও এক টেবিল-চামচ লেবুর রস শ্যাম্পুতে মিলিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের তৈলাক্ত ভাব কমবে।

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

কখনো হাল ছেড়ো না

কখনো হাল ছেড়ো না/
ফেলিপে কালদেরন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি। 
১৯৬২ সালের ১৮ আগস্ট তাঁর জন্ম। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে তিনি এ বক্তব্য দেন।
সর্বপ্রথম তোমাদের অভিনন্দন। আমি জানি, তোমরা তোমাদের অর্জনের জন্য অনেক আনন্দিত ও গর্বিত। আজকের এই সমাবর্তন কোনো কিছুর শেষ নয়, বরং আজকের দিনটা হচ্ছে তোমাদের জীবনে একটা নতুন যাত্রা শুরুর দিন। একদিন তোমাদের মধ্যকার অনেকেই বিখ্যাত ব্যবসায়ী, আইনজীবী, লেখক, চিকিৎসক অথবা প্রকৌশলী হবে। তা যা-ই হও না কেন, একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলাই হোক তোমার জীবনের ব্রত। নিজের দেশের একজন ভালো নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি পৃথিবীর একজন যোগ্য মানুষও তোমাকে হতে হবে। আজকে তোমরা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছো সবচেয়ে আধুনিক জ্ঞান নিয়ে। নিঃসন্দেহে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়াটা সম্মানের এবং একই সঙ্গে দায়িত্বের। তোমাদের সুযোগ আছে অন্যদের জন্য কিছু করার। তোমরাই পারবে তোমাদের মেধা ও সাহস দিয়ে পৃথিবীকে সঠিক পরিবর্তনের পথে এগিয়ে নিতে—যদিও অনেকের কাছেই তা অসম্ভব। মহাত্মা গান্ধীর সেই কথাটা মনে করো। নিজেকে জিজ্ঞেস করো, যে পরিবর্তন তুমি দেখতে চাও, তা নিজেকে দিয়েই কি শুরু করতে চাও? তোমাদের আমি আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমি যখন তোমাদের বয়সী ছিলাম, মেক্সিকোতে তখনো স্বৈরাচারী শাসন ছিল। প্রতিটি প্রদেশের গভর্নর এবং সিনেটররা ছিলেন একই দলের সদস্য। বহু বছর ধরে সেই দলই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করত। যেমন—গণমাধ্যম কী বলবে, স্কুল কী শিক্ষা দেবে, কোন ধরনের রক কনসার্ট করা যাবে ইত্যাদি। একসময় তোমাদের মতো শিক্ষার্থীরাই এর বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করল। রাষ্ট্রজুড়ে তখনো আশার আলো ছিল এবং গণতন্ত্রের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল। আমার বাবা সরাসরি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুব কঠিন সময় ছিল সেটা। আমার ভাইবোন ও আমি বাবার সঙ্গে ছিলাম। দরজায় ধাক্কা দিতে, চিৎকার করে স্লোগান দিতে খুব ভালো লাগত আমার। ধীরে ধীরে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়ে গড়ে উঠতে লাগল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নির্বাচনী জালিয়াতিও শুরু হলো। ক্ষমতার হতাশাজনক অপব্যবহার দেখে একদিন বাবাকে বললাম যে আমাদের সব চেষ্টা বৃথা। একদিকে সরকার ভোট চুরি করছে, অন্যদিকে দেশের মানুষও এসব নিয়ে ভাবছে না। তখন তিনি বললেন, ‘আমি তোমার আক্ষেপের কারণ বুঝতে পারছি। আমরা যা করেছি, তা দেশের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব। হয়তো আমাদের দল থেকে আমরা কোনো প্রেসিডেন্ট বা গভর্নর পাব না। কিন্তু মেক্সিকোকে শান্তিপূর্ণভাবে বদলানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, এখানকার মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলানো। আমরা না করলে আর কেউ সেটা করবে না। গণতন্ত্র খুব ভালো করে আসার আগেই আমার বাবা মারা যান এবং এর কয়েক বছর পর সব ধরনের বিপত্তি কাটিয়ে আমি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হই। তোমরা কখনোই তোমাদের স্বপ্ন ও চিন্তার জগৎ থেকে সরে এসো না। বিশ্বাস করে লড়ে যাও। তোমার প্রচেষ্টার মধ্যে কখনো সংশয় রেখো না। কারণ, মানুষের সৃষ্টি করার ক্ষমতা তার ধ্বংস করার ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলো। তোমার নীতিতে অটল থেকো। পৃথিবী তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আজকের পৃথিবী। যেমন—জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, বেকারত্ব ইত্যাদি। প্রায় ৪০ বছর আগে ক্লাব অব রোমের বিশিষ্ট চিন্তাবিদেরা মানবতার ধারা নিয়ে গবেষণা করে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, তা হলো ‘ম্যানকাইন্ড অ্যাট দ্য টার্নিং পয়েন্ট’। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে দুই ধরনের শূন্যতা চোখে পড়ে। একটা হলো মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে এবং অপরটা হলো ধনী-গরিবের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক। দিন দিন দরিদ্রতা বেড়ে চলেছে। ১০০ কোটির বেশি মানুষ এখন এক ডলারের চেয়ে কম উপার্জনে বেঁচে রয়েছে। অন্যদিকে, কার্বন নিঃসরণের কারণে গত শতাব্দীতে পৃথিবীর তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বেড়ে গেছে। সঠিক উদ্যোগের অভাব হলে এই শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা প্রায় পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে। পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব রয়েছে। অর্থনীতির উন্নয়ন নাকি পরিবেশ রক্ষা—কোনটাকে বেছে নেওয়া হবে, সেটা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখেও অর্থনীতির উন্নয়ন করা সম্ভব। এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন ও দরিদ্রতার সঙ্গেও একসঙ্গে লড়াই করা সম্ভব। একধরনের উভয় সংকটপূর্ণ অবস্থা দূর করার জন্য দরকার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও শ্রেষ্ঠ মন। প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমরা অনেক দূর এসেছ। আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। একটা শেষ উপদেশ দিচ্ছি, জীবনটাকে উপভোগ করো, আনন্দ খুঁজে নাও—এটাই হলো বেঁচে থাকার নির্যাস। পৃথিবীতে তোমার বেঁচে থাকার অর্থ অনুসন্ধান করো। তুমি যে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাও, তা নিয়ে ভাবো ও কাজ করে যাও। জীবনতরীকে ঝড়ের বিপরীতে চালাতে ভয় পেয়ো না। আজ থেকে তোমাদের নতুন এক যাত্রা শুরু হলো। ওয়েবসাইট, ইংরেজি থেকে অনুবাদ/



আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিরিপত্তা



আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড যদি সবাই জেনে যায়, 
তাহলেও কেউ আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না। এর জন্য প্রথমে ফেসবুকে লগইন করে ওপরে ডান পাশে Home এর পাশে একাউন্টরোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.facebook.com /settings?ref=mb ঠিকানায় যান। এখন বাঁ পাশ থেকে Security-তে ক্লিক করুন। এখন Login Approvals-এর ডান পাশ থেকে edit-এ ক্লিক করুন। তারপর Require me to enter a security code…বক্সে টিকচিহ্ন দিন। টিকচিহ্ন দেওয়ার সময় নতুন একটি বার্তা এলে Set Up Now-এ ক্লিক করুন। এখন Phone number বক্সে আপনার মোবাইল নম্বর লিখে Continue তে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে। কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Submit Code বাটনে ক্লিক করে Close-এ ক্লিক করুন। (Login Notifications-এর ডান পাশ থেকে edit-এ ক্লিক করে Email এবং Text message বক্সেও টিকচিহ্ন দিয়ে Save-এ ক্লিক করে রাখতে পারেন।) এখন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগআউট করে পুনরায় আবার ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন Name New Device নামে একটি পেজ এসেছে। সেখানে Device name বক্সে কোনো নাম লিখে Save Device-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে প্রতিবার আপনার কম্পিউটার ছাড়া অন্য কারও কম্পিউটার থেকে আপনার ফেসবুক একাউন্টে লগইন করতে চাইলে আপনার মোবাইলে একটি কোড নম্বর আসবে এবং সেই কোড নম্বরটি কোড বক্সে লিখে Continue তে ক্লিক করলেই আপনার ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করা যাবে। কাজেই আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড সবাই জানলেও কেউ আপনার ফেসবুকে লগইন করতে পারবে না।

আপনার ফেসবুক Account কি নিরাপদ?




আপনার ফেসবুক Account কি নিরাপদ?
 তা জানার জন্য প্রথমে http://goo.gl/J2UPB ঠিকানায় যান। সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন, আপনার ফেসবুক Account এর বর্তমান নিরাপত্তাব্যবস্থা কতটুকু। নিরাপত্তাব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সেখানে তিনটি স্টেপ আছে। পদ্ধতি-১: এখানে একাধিক ই-মেইল আইডি যোগ করুন। তারপর Next-এ ক্লিক করুন। পদ্ধতি-২: এখানে আপনার মোবাইল নম্বর যোগ করুন। আবার Next-এ ক্লিক করুন। স্টেপ-৩: এখানে নিরাপত্তার প্রশ্ন যোগ করুন। এখন ওপরে ডান পাশে Home-এর পাশে অ্যারোতে ক্লিক করে Account Settings-এ ক্লিক করুন বা সরাসরি www.facebook.com/settings?ref=mb ঠিকানায় যান। এখন বাম পাশ থেকে Security-তে ক্লিক করুন। Login notifications-এর ডানপাশ থেকে edit-এ ক্লিক করুন। এখন টেক্সবক্স দুটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে Save Changes-এ ক্লিক করুন। এখন ফেসবুক লগআউট করে আবার ফেসবুকে লগইন করুন। দেখবেন Name New Device নামে একটি পেইজ এসেছে। সেখানে Device name বক্সে কোনো নাম লিখে Save Device-এ ক্লিক করুন। এখন থেকে প্রত্যেকবার আপনার ফেসবুক আইডিতে লগইন করার সময় আপনার ই-মেইল ঠিকানায় এবং মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ যাবে এবং তাতে লেখা থাকবে কখন, কী নাম দিয়ে, কোন আইপি ঠিকানা থেকে আপনার ফেসবুক আইডিতে প্রবেশ করা হয়েছে। আপনি যদি এই নাম দিয়ে এই সময় প্রবেশ না করে থাকেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। মনে রাখবেন, হ্যাকাররা প্রথমে ই-মেইল আইডি হ্যাকিং করার চেষ্টা করে। ই-মেইল আইডি হ্যাকিং করতে পারলে খুব সহজে ফেসবুক আইডিও নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারে। ওপরের পন্থাগুলো অবলম্বন করলে আপনার ফেসবুক আইডি হ্যাকিং হলেও পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। এমনকি আপনার সব কটি ই-মেইল আইডি হ্যাকিং হলেও বা আপনার ফেসবুকের ই-মেইল আইডি পরিবর্তন করে ফেললেও মোবাইল নম্বর নিয়ে তা পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।