Music box

রবিবার, ২৩ জুন, ২০১৩

ড. ইউনূসের ‘সামাজিক ব্যবসা’



ড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসাপাল্টে দেবে পৃথিবী!



এটি একবিংশ শতাব্দীর সেরা আবিষ্কারঅন্তত এ পর্যন্ত! আপনি কি মিটি মিটি হাসছেন? তাহলে আপনাকে ধন্যবাদ এই হাসির জন্য! কারণ, আপনার এই হাসি ঐতিহাসিক! ইতিহাসে বড় বড় আবিষ্কারের কথা শুনে প্রথম প্রথম এভাবেই হেসেছিল অনেকে 
তার ছাড়া শত মাইল দূরে বাঙের ভেতর শোনা যাবে গান- এটা শুনে গুনগুনিয়ে বিদ্রূপের গান গেয়েছিল অনেকেতারপর যখন ঠিকই বাঙে বেজে উঠল গান, ওরাই রেডিওকে বলল- জাদুর বাঙ’! আর জাদুর বাঙে যখন কৌতুক শুনল, হো হো করে হেসে উঠল এই গাধার দলই! বলল, ‘এতো দেখি সত্যি! আজব! 
শুধু হাসি নয়, পৃথিবীর বড় বড় আবিষ্কারের পেছনে কান্নাও আছে! পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরেবলায় প্রশাসন যন্ত্রের কোপানলে পড়তে হয়েছিল গ্যালিলিওকেকিন্তু প্রশাসন যন্ত্র থামাতে পারেনি সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘোরাকেগালিলিওর পক্ষে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজও পৃথিবী ঘুরে চলেছে সূর্যকে ঘিরে!
গম্ভীর হবেন নাকারণ, আজ মজার একটি ব্যবসা সম্পর্কে সরল ও তরলভাবে বলবোমজার লাগবে যদি আপনি মানুষটা ভাল হনআপনি মানুষ ভালনা হলে এতটুকুও পড়তেন নাব্যবসাটিকে বলা হচ্ছে সামাজিক ব্যবসাআবিষ্কার করেছেন আমাদের এই অভাগা দেশের এক সূর্য সন্তান! বেচারা ড. ইউনূস! ড. ইউনূসরহস্যপূর্ণ বিজ্ঞানীঘনিষ্ঠ সূত্রমতে ওনাকে নাকি খেতে ও ঘুমুতে দেখা যায় না! অন্য গ্রহের মানুষ সম্পর্কে আমার পড়াশোনা আছেওরাও খায় না, ঘুমায় নাআর তারা অতি বুদ্ধিমান! আমার পরিচিত এক হুজুর (মাওলানা)-কে বিষয়টি জানাইউনি জিভে কামড় দিয়ে বলেন, ‘তওবা করেন, গুনাহ হবে’! 
বললাম, ‘কেন’?
বললেন, ‘অন্য গ্রহের মানুষ না, উনি জ্বীনপা দেখেছেন’?
দেখা যায় না, ফটোতে দেখলামট্রাউজার্সে ঢাকা থাকে
তা তো থাকবেই’, বলেন হুজুরমানুষরূপী জিনদের পা উল্টা থাকে, তাই ঢেকে রাখে’!
চমকে উঠলাম, ‘বলেন কি’?
ঠিকই বলিকোনদিন সামনাসামনি হলে সালাম করার ভান করে প্যান্ট একটু আলগি দিয়ে দেখবেন পা উল্টা’!
বলে উল্টো দিকে হাঁটা দেন হুজুর!
ওনার কথা থাক
আমরা যে কথায় ছিলাম সে কথায় আসিসামাজিক ব্যবসাড. ইউনূসের সামাজিক ব্যবসাবাইরের দেশগুলো যতটা না ভাল বুঝতে পেরেছে, আমাদের দেশ বিশেষ করে শিক্ষিত ও ধনাঢ্য সমাজ বুঝতে পারেনিবুঝতে চেষ্টা করেনিঅথবা ভুল বুঝেছেঅনেকে ক্ষুদ্র ঋণের পিতাড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ এবং তার নিজ হাতে সৃষ্ট গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সামাজিক ব্যবসাকে এক করে ফেলেনসংশ্লিষ্টতা থাকলেও সামাজিক ব্যবসাএকটি নতুন উদ্ভাবনা, আলাদা সত্তায় বিশিষ্টসহজ করছিচলুন একজন ভিক্ষুককে গিনিপিপবানিয়ে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করিধরা যাক, প্রতিদিন আপনি একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালে এই ভিক্ষুকটিকে টাকা দেন১০ টাকা, কোনদিন ২০ টাকাএটি আপনি আপনার সামাজিক দায়িত্ব ভেবে করছেনকিন্তু এতে করে ভিক্ষুকটি ক্রমশ বড় ভিক্ষুকে পরিণত হচ্ছে! উৎসাহিত হয়ে সে তার ১ ছেলে, ১ মেয়ে আর ১ ভাগ্নেকে এ পথে নামিয়ে দিলতাহলে কি দাঁড়াল? আপনি সমাজকে ভালবেসে সমাজে ১ ইউনিট থেকে ৪ ইউনিট ভিক্ষুক উপহার দিলেন!
এবার বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখিআপনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে প্রথম ভিক্ষুকটিকে ৫০০০ টাকা লোন দেবেনতাকে আপনার শিক্ষা এবং জ্ঞান দিয়ে বৈধ ব্যবসা শিখিয়ে দিলেন এই শর্তে যে প্রতিদিন সে তার লাভ থেকে আপনাকে ৫০ টাকা করে শোধ দেবেব্যসতিন মাসে আপনার লোন শোধ হয়ে যাচ্ছে! এরমধ্যে সেই ১ ছেলে, ১ মেয়ে আর ১ ভাগ্নে এসে আপনাকে বলল- ওরাও ভিক্ষা ছেড়ে এই ব্যবসা করবে! আপনি ওদেরও একইভাবে লোন দিয়ে ব্যবসায়ী বানালেনশর্ত একটাই- আপনার লোন শোধ হয়ে গেলে আপনি আর টাকা নেবেন নাএবার বিষয়টি কি দাঁড়াল? আপনি ৪ ইউনিট ভিক্ষুককে ৪ ইউনিট স্বাবলম্বী মানুষে পরিণত করলেন! ধরা যাক, আপনি এদের সম্মিলিত ব্যবসা জোটকে একটি কোম্পানিতে রূপান্তরিত করলেনযেহেতু ট্র্যাফিক সিগন্যালে এদের সঙ্গে পরিচয়, কোম্পানির নাম দেয়া গেল সিগন্যাল কোম্পানি’! এখন এরা এই সিগন্যাল কোম্পানির মালিকআপনি ভাবছেন, এই কোম্পানির মূল পরিচালক হিসেবে একজন গাইড প্রয়োজনকারণ, মালিকদের পড়ালেখার ঘাটতি আছেআপনার একজন ভাগ্নে আছেসুশিক্ষিত বেকার ট্যালেন্টমাস্তানদের সঙ্গে ইদানীং মিশছে আর বাকিতে বেনসন পোড়াচ্ছেআপনি তাকে সিগন্যাল কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিয়োগ দিলেন এবং নব্য মালিকদের বললেন তাকে মাসে ৪ হাজার টাকা করে বেতন দিতেতার কাজ হচ্ছে সিগন্যাল কোম্পানির দেখ-ভাল করাআপনি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলেন মালিকরা যে শুধু রাজি হয়েছে তা-ই নয়, সঙ্গে আরও ৬ জন ভিক্ষুককে নিজেদের কোম্পানিতে শেয়ার হোল্ডার হিসেবে ভিড়িয়েছে! তাহলে এখন কি দাঁড়াল? আপনি সমাজকে ভিক্ষা না দিয়ে ১০ ইউনিট স্বনির্ভর মানুষ এবং ১ ইউনিট লিডার উপহার দিলেন! ১১ ইউনিট থেকে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর হলো! এটি-ই হচ্ছে খুব সরলভাবে, ছোট্ট করে, প্রতীকী সামাজিক ব্যবসার উদাহরণসামাজিক ব্যবসা হচ্ছে এর চাইতে অনেক ব্যাপক এবং বিশাল পরিসরের মহৎ ব্যবসা, যা মাল্টি-ডায়মেনশনাল এবং সীমাহীন সুযোগসম্পন্নএটি সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনার ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো! সামাজিক ব্যবসা যে শুধু দারিদ্র্য দূরীকরণেই প্রয়োজন তা নয়, সমাজের যে কোন দুর্যোগ এবং সমস্যা সমাধানে এটি প্রয়োগ করা যায়সমপ্রতি জাপানের সুনামি বিধ্বস্ত এলাকায় স্যার ইউনূসের সামাজিক ব্যবসা প্রয়োগ করে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে জাপানিরাহাইতিতেও সমস্যা সমাধানে চলছে সামাজিক ব্যবসার সফল প্রয়োগ! বিশ্বের ৫ ডজনের ওপর দেশে চলছে এর সফল প্রয়োগ!



সোমবার, ৪ মার্চ, ২০১৩

Facebook সমাচার….




৪ ফেব্রুয়ারি ছিল সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের জন্মদিন। নয় পেরিয়ে ১০ বছরে পা দিল ফেসবুক। ধারাবাহিকভাবে সফলতা পাওয়া জনপ্রিয় এ সাইটটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ১০০ কোটির বেশি।

 ২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দি ফেসবুক ডট কম চালু। কোনো ছবি, ওয়াল, নিউজ ফিড, ইভেন্ট, পেজ ছিল না। ১০ লাখ ব্যবহারকারী যুক্ত হন ফেসবুকে।

 ২০০৫ সালে ফেসবুক ডট কম ডোমেইন কেনা হয়। দি কথাটি বাদ যায়। ছবি যোগ করার সুবিধা চালু হয়। 
 ৫৫ লাখ ব্যবহারকারী। 

২০০৬ সালে জানুয়ারিতে বন্ধু বানানোর পদ্ধতি চালু। মোবাইল ফোন থেকে ব্যবহারের সুবিধা চালু।
 এক কোটি ২০ লাখ ব্যবহারকারী। 

২০০৭ ভার্চুয়াল গিফট দেওয়া চালু। নেটওয়ার্ক পাতা চালু, বন্ধুদের সর্বশেষ তিনটি হালনাগাদ হোম পেজ থাকা, একই সঙ্গে সব বন্ধুর হালনাগাদ দেখার সুবিধা, বন্ধুদের হালনাগাদের আরএসএস ফিড চালু, বন্ধুদের হালনাগাদ এসএমএসে পাওয়ার সুবিধা, এসএমএস পাঠিয়ে ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেওয়ার সুবিধা চালু হয়। ফেসবুক ভিডিও চালু করা হয়। আইফোনের জন্য ফেসবুক সাইট চালু। ব্যবসার কাজে ব্যবহারের জন্য ফেসবুক পেজ এবং সোশ্যাল এড় চালু হয়।
 পাঁচ কোটি ব্যবহারকারী।

 ২০০৮ বিভিন্ন এপস যুক্ত ও স্প্যাম প্রতিরোধের সুবিধা চালু। মার্চে নতুন প্রাইভেসি বৈশিষ্ট্য চালু। মে মাসে ফেসবুকে ব্যবহারকারীর পাতার পাশে ‘পিপল ইউ মে নো’ চালু, ইউটিউবের ভিডিও রাখার সুবিধা চালু। ৫৫টি নতুন ভাষায় ফেসবুক চালু, আইফোনের জন্য ফেসবুক এপস চালু। 
 ১০ কোটি ব্যবহারকারী। 
২০০৯ সালে ৩৫ কোটি ব্যবহারকারী যুক্ত।

২০১০ নতুন টপ মেনু, নতুন বামের মেনু, সহজে ছবি আপলোড করার উন্নত সুবিধা। কমিউনিটি পেজ চালু। এন্ড্রয়েড এপসে স্থান ও গ্রুপ করার সুবিধা, ফেসবুকে মেসেজিংয়ের উন্নত সুবিধা। ডিসেম্বরে ফেসবুকের প্রোফাইলের নতুন চেহারা, চেহারা চিহ্নিত করার ট্যাগিং-সুবিধা চালু।
 ৫০ কোটি ব্যবহারকারী।

২০১১ সালে ফেসবুক চ্যাটের সঙ্গে ভিডিও সুবিধা চালু। গেমসের উন্নতকরণ।
 ৮০ কোটি ব্যবহারকারী।
 ফেসবুকে সাবস্ক্রাইবার বোতাম এবং মোবাইলের জন্য টাইমলাইন চালু।

২০১২ জানুয়ারিতে বন্ধুদের সঙ্গে গান শোনার সুবিধা, টাইমলাইনের জন্য অ্যাপস চালু। 
১০০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী। 

প্রতি সেকেন্ডে তিন হাজার ছবি আপলোড হয়! বিশ্বের ১১ শতাংশ মানুষের ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে! ব্যক্তিগত গাড়ির (কার) চেয়ে ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি!
 ৫০ শতাংশ ব্যবহারকারী প্রতিদিন ফেসবুকে ঢোকেন। 
 গড়ে প্রত্যেক ব্যবহারকারী মাসে ৭০০ মিনিট ফেসবুকে সময় কাটান! এক মিনিটে ফেসবুকে পাঁচ লাখ ১০ হাজার কমেন্ট, দুই লাখ ৯৩ হাজার স্ট্যাটাস এবং এক লাখ ৩৬ হাজার ছবি আপলোড হয়! চীনে ফেসবুক বন্ধ।প্রতি ২০ মিনিটে দুই কোটি লিংক শেয়ার, ১৫ লাখ ইভেন্টের ইনভাইট পাঠানো, ১৮ লাখ স্ট্যাটাস হালনাগাদ, ২০ লাখ বন্ধুর অনুরোধ একসেপটেড, ২৭ লাখ বার্তা আদান-প্রদান এবং এক কোটি দুই লাখ কমেন্ট হয়!
সামাজিক যোগাযোগের এই সাইটে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্হান ৪৯।


তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট ও ফেসবুক।